, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বিশ্বনাথে কিশোর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনের নামে মামলা

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক কিশোরের উপর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র। সেই ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনেরা। দাবি উঠেছে- জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে মামলা নিয়েছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

এর আগে, গেল রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চুরির অভিযোগে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের নাম ওলিউর রহমান (১৪)। সে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুর গ্রামের দিনমজুর রোহেল মিয়ার ছেলে।

সূত্র জানায়, একই ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদের বাড়িতে ‘গরুচোর’ সন্দেহে কিশোর ওলিউরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। রাতে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এ নির্যাতনের ভিডিও। ওঠে নিন্দার ঝড়। পরে মামলা নেয় পুলিশ।

ভিকটিমের মা জলি বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদকে।

ওলিউরের পিতা রোহেল মিয়া জানান, আমার নিরপরাধ ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে মেম্বারের বাড়ি নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করা হয়। ওই গ্রামের মবশির আলীর ছেলে আবদুল বারিকসহ একাধিক লোকজন এ কাণ্ড ঘটায়।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি লায়েক আহমদ গনমাধ্যমকে জানান, আমি বাড়িতে থাকাকালে কোন নির্যাতন করা হয়নি। তাকে মুরব্বিদের জিম্মায় রেখে যাবার পর এ ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

বিশ্বনাথে কিশোর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনের নামে মামলা

প্রকাশের সময় : ০২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক কিশোরের উপর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র। সেই ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনেরা। দাবি উঠেছে- জড়িতদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে মামলা নিয়েছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

এর আগে, গেল রবিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চুরির অভিযোগে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের নাম ওলিউর রহমান (১৪)। সে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুর গ্রামের দিনমজুর রোহেল মিয়ার ছেলে।

সূত্র জানায়, একই ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদের বাড়িতে ‘গরুচোর’ সন্দেহে কিশোর ওলিউরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। রাতে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এ নির্যাতনের ভিডিও। ওঠে নিন্দার ঝড়। পরে মামলা নেয় পুলিশ।

ভিকটিমের মা জলি বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদকে।

ওলিউরের পিতা রোহেল মিয়া জানান, আমার নিরপরাধ ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে মেম্বারের বাড়ি নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করা হয়। ওই গ্রামের মবশির আলীর ছেলে আবদুল বারিকসহ একাধিক লোকজন এ কাণ্ড ঘটায়।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি লায়েক আহমদ গনমাধ্যমকে জানান, আমি বাড়িতে থাকাকালে কোন নির্যাতন করা হয়নি। তাকে মুরব্বিদের জিম্মায় রেখে যাবার পর এ ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।