সিলেটে আওয়ামী লীগের দোসররা এবার বিএনপির নেতাদের অজান্তে এবং ম্যানেজ করে জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন সংগঠনের কমিটিতে আশ্রয় নিচ্ছে। এসব ডেভিলরা বিএনপির রাজনীতিকে কলঙ্কিত করতে তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে দলে যোগদান করছে। এর প্রমানও মিলেছে। গত মঙ্গলবার সিলেটে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬টি থানা শাখা কমিটি গঠনের পর অনুপ্রবেশকারিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। একের পর এক ডেভিলদের হলফনামা প্রকাশ পাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে ডেভিলদের পুনর্বাসন এবং দলের দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না!
সম্প্রতি সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের শাখা কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসররা নানান কৌশলে বিএনপির এই সংগঠনে যোগদান করেছে। এছাড়াও দলের দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীদের অবমূল্যায়ন করায় নগরীতে ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এই খবর এখন সিলেটের “টক অব দি টাউন!”
শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলে নয়, জাতীয়তাবাদী বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনে এখন আওয়ামী লীগের দোসর এবং দীর্ঘদিন দলীয় কর্মকাণ্ডে নন এমন অনেককে দলীয় পদ নেয়ার জন্য উঠেপরে লেগেছেন। বিষয়টি নিয়ে সিলেট বিএনপির সিনিয়র নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এছাড়াও তারা অতঙ্কেও আছেন। আওয়ামী লীগ সরকারে সময়ে অনেক বিএনপির নেতা-কর্মীরা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের হয়ে কাজও করেছেন। তারাও এই অতঙ্কে আছেন, কখন তাদের হলফনামা প্রকাশ হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের দোসরদের বিএনপিতে যোগদানের ঘটনায় বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা এবং আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে দীর্ঘদিন দলীয় কর্মকাণ্ডে নন এমন অনেককে দলীয় পদ দেয়া নিয়ে ত্যাগীদের মধ্যে উত্তেজনাও সৃষ্টি হবে। এসব কমিটি নিয়ে যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ফাটল ধরতে পারে জাতীয়তাবাদী বিএনপির ঐক্যে।
অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে বিএনপিতে না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়ার্ড থেকে জাতীয় পর্যায় এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যন্ত কোনো স্তরেই কমিটিতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে যোগদান করানো যাবে না।