, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

লন্ডনে ২য় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম চান না সিলেটের আতাউর

লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ টাওয়ার হিল মেমোরিয়াল থেকে নিজের বাবার নাম বাদ দেওয়ার ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন সিলেটের বাসিন্দা আতাউর রহমান।

সৌধে গিয়ে বাবার প্রতি সম্মান জানাতে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার।

মূলত এ অভিমান থেকেই ৮৬ বছর বয়সী আতাউর বলছেন, যেহেতু আমাদের সম্মান জানানোর অধিকার নেই, তাই সেখানে আমার বাবার নাম থাকার কোনো যুক্তি নেই।

ব্রিটিশ সরকারকে বলব, স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি যুদ্ধের কমনওয়েলথ সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে আমার বাবার নাম স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হোক।

আতাউরের বাবার নাম এরশাদ আলী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মিত্রবাহিনীর হয়ে মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ১৯৪৪ সালের ১৯ জুন মৃত্যু হয় এরশাদ আলীর। ওই দিন নেদারল্যান্ডসের কার্গো জাহাজে ছিলেন তিনি। একটি টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ধ্বংস হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদানের জন্য এরশাদ আলী পাঁচটি পদক পেয়েছেন। এগুলো হলো- বার্মা স্টার, আটলান্টিক স্টার, ১৯৩৯-৪৫ স্টার, ১৯৩৯-৪৫ ওয়ার মেডাল ও ডাচ মোবিলাইজেশন ওয়ার ক্রস। টাওয়ার হিল মেমোরিয়ালে আরো অনেকের সঙ্গে এরশাদ আলীর নামও খোদাই করা আছে।

আতাউর রহমান বলেন, আমার বয়স যখন ছয় মাস, তখন বাবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি।সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল, আমি বাবাকে কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, আমার ছেলে সুহেল, সে তার দাদার মৃত্যুর ৭৫ বছর পর সব নথি সংগ্রহ করে। তিন বছর ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর সে তার দাদার স্বীকৃতি পায়।

আমি মনে করি, ভিসা কর্মকর্তা ইচ্ছা করে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমি মনে করি, এটা মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ।

আতাউর রহমান মনে করেন, ভিসা আবেদন নাকচ করার মাধ্যমে কেবল তার বাবাকে অপমান করা হয়নি; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সবাইকে অপমান করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

লন্ডনে ২য় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম চান না সিলেটের আতাউর

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ টাওয়ার হিল মেমোরিয়াল থেকে নিজের বাবার নাম বাদ দেওয়ার ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন সিলেটের বাসিন্দা আতাউর রহমান।

সৌধে গিয়ে বাবার প্রতি সম্মান জানাতে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার।

মূলত এ অভিমান থেকেই ৮৬ বছর বয়সী আতাউর বলছেন, যেহেতু আমাদের সম্মান জানানোর অধিকার নেই, তাই সেখানে আমার বাবার নাম থাকার কোনো যুক্তি নেই।

ব্রিটিশ সরকারকে বলব, স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি যুদ্ধের কমনওয়েলথ সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে আমার বাবার নাম স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হোক।

আতাউরের বাবার নাম এরশাদ আলী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মিত্রবাহিনীর হয়ে মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ১৯৪৪ সালের ১৯ জুন মৃত্যু হয় এরশাদ আলীর। ওই দিন নেদারল্যান্ডসের কার্গো জাহাজে ছিলেন তিনি। একটি টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ধ্বংস হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদানের জন্য এরশাদ আলী পাঁচটি পদক পেয়েছেন। এগুলো হলো- বার্মা স্টার, আটলান্টিক স্টার, ১৯৩৯-৪৫ স্টার, ১৯৩৯-৪৫ ওয়ার মেডাল ও ডাচ মোবিলাইজেশন ওয়ার ক্রস। টাওয়ার হিল মেমোরিয়ালে আরো অনেকের সঙ্গে এরশাদ আলীর নামও খোদাই করা আছে।

আতাউর রহমান বলেন, আমার বয়স যখন ছয় মাস, তখন বাবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি।সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল, আমি বাবাকে কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, আমার ছেলে সুহেল, সে তার দাদার মৃত্যুর ৭৫ বছর পর সব নথি সংগ্রহ করে। তিন বছর ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর সে তার দাদার স্বীকৃতি পায়।

আমি মনে করি, ভিসা কর্মকর্তা ইচ্ছা করে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমি মনে করি, এটা মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ।

আতাউর রহমান মনে করেন, ভিসা আবেদন নাকচ করার মাধ্যমে কেবল তার বাবাকে অপমান করা হয়নি; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সবাইকে অপমান করা হয়েছে।