সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের নামে নতুন এক প্রতারকচক্র ঢাকা-সিলেটগামী ট্রেনে টিকেট বিক্রি করছে।
টিকেট ক্রয় নামে প্রতারক চক্রের ফাঁদ নতুন এই প্রতারক চক্র অগ্রিম ট্রেনের টিকেট- সিলেট টু ঢাকা,চট্টগামী নাম ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে।
এবিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ বার বার সতর্ক বার্তা দিলে ও । টিকেট ক্রয় করে অনেকে। সচেতনতার অভাবে অনেকে টাকা খোয়াছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও রেল ষ্টেশন সূত্রে সরজমিন ঘুরে জানা যায়, প্রতারক চক্র অগ্রিম ট্রেনের টিকেট- সিলেট টু ঢাকা,চট্টগাম ফেইসবুক গ্রুপ তৈরী করে হাতিয়ে নিচ্ছে টিকেট ক্রয়ের নামে হাজার হাজার টাকা।
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে প্রতারক চক্রটি ফেইসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপনের দিয়ে আরো ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
অনুসন্ধানসূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী আন্তনগর জৈন্তিকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস এসব ট্রেনে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করে সরাসরি একটি চক্র। ফেইসবুকে এই চক্র ম্যাসেনজারে নক করলে টিকেট ক্রয় করতে হলে বিকাশে লেনদেন করার কথা বলে।
তবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য এই চক্রের সাথে সরাসরি জড়িত অনেক রেল ষ্টেশনে টিকেট কাউন্টারে সিএমএস কম্পিউটারে দায়িত্বরতরা।
এসব লেনদেন হয় বিভিন্ন এজেন্ট ও পারর্সোনাল নাম্বার দিয়ে । প্রতারক চক্রটি এজেন্ট নাম্বারে মাধ্যমে টাকা নেয়। টাকা পাঠানোর পর নাম্বারগুলো ব্লক করে দেয়। ভুক্তভোগীরা বার বার যোগাযোগ করলে নাম্বার ব্লক করে রাখে। অন্য নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে না।
এই গ্রুপের মাধ্যমে গত ২৯ ডিম্বেবর ২০২৪ইং সিলেট – ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সারওয়ার হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী এই এজেন্ট নাম্বারে > ০১৯৭৩১৮৮১২৪>১৭৮০ টাকা সেন্ট করে করলে ৬ জনের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকেট প্রথমে টিকেট এর জন্য টাকা দিলে ও টিকেট দেয়নি তার পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর তারিখের ৩টি টিকেট ক্রয় করে ১৩৭০টাকার মাধ্যমে এই নাম্বারে ০১৭৪৫৬৯৯৬৫১ টাকা পাঠালে ছোট একটি কেবিনের জন্য। ট্রেনে স্টাফ ও এই চক্রের সাথে যোগাসাত রয়েছে এসময় ছোট কেবিন আসনে বসালে কিন্তুু ভূয়া টিকেট দেয় মোবাইলের মাধ্যমে । তার পর হয় অঘটন যাএী উঠলো দুই জনের মধ্যে সিট নিয়ে হয় বাকবিতন্ডায়। একজনের সিট আরেক জনকে দেয়। নিধার্রিত সিট না পেয়ে এই শিক্ষার্থীরা খাবার গাড়িতে যেতে বাথ্য হয়। এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এই চক্রটি বিভিন্ন লোকের কাছে ভূয়া টিকেট বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে ফেইসবুক পেইজে চুর, বাটপার সহ বিভিন্ন মন্তব্য করেছে। তার প্রতিনিয়ত মানুষজন এই চক্রের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট ক্রয় করছে। সচেতনতার অভাবে প্রতারিত হচ্ছে অনেকে। সরাসরি কাউন্টারে অভিযোগ করলে ও এর কোন সুরাহা পাইনি এই শিক্ষার্থীরা।
সিলেট রেল স্টেশন ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রী সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়ত সিলেটগামী ও ঢাকাগামী টিকেটের জন্য জরুরী টিকেট ক্রয় করলে ভূয়া টিকেট পাওয়া যায়।
সারওয়ার হোসেনের মত গ্রাম থেকে আসা অনেকে সহজ সরল মানুষ প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এমনই এক প্রতারক চক্র নিজেকে ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশনের কাউন্টারের সিএমএস কাউন্টারের অপারেটর বলে দাবী করে। যোগাযোগ নিয়ে জানা যায় এই স্থানে এ পদে কর্মরত কোন লোক নেই।
গত ২৬ মার্চ বুধবার রাত দেড়টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে তেমনি একটি চক্রের হোতা শায়েস্তাগঞ্জ রেল ষ্টেশনের বুকিং সহকারি
মাজহারুল হককে (২৮) ট্রেনের টিকেট অনলাইনে কালোবাজারে বিক্রির নামে প্রতারনার অভিযোগের ভিক্তিতে একজনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
এই বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, আমরা এই চক্রটি ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছি এদের ধরতে আমরা সহযোগিতা করব।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ইনচার্জ মেহেদী হাসান খান জানান, আমরা এ ধরনের অভিযোগ পেলে চক্রটিকে ধরতে তৎপর রয়েছি। এবিষয়ে
গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সতর্ক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রেলওয়ে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট রেল সেবা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাউন্ট, গ্রুপ, পেজ খুলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রয়ের চেষ্টা করছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ এবিষয়ে সতর্ক করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্চে না। রেল খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করা এবং সচেতন মহলের দাবি সারা দেশে বিভিন্ন ষ্টেশনে ছড়িয়ে চটিয়ে রয়েছে এধরনের চক্র। তাদের আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি।