সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হট্টগোল, মারামারি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এনসিপির প্রথম ইফতার মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী হট্টগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ সময় কিছু সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া ও হেনস্তা করার ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এনসিপি সিলেট জেলা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জেলার গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত এনসিপির সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে সফল করেছেন। তবে কিছু দুষ্কৃতকারীর কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে আমরা দুঃখিত।’
এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে কাউকে চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা সুযোগসন্ধানী কার্যক্রমের সুযোগ দেওয়া হবে না।
এ ঘটনায় ইফতার না করে অনুষ্ঠানের স্থান ত্যাগ করেন সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল প্রেসক্লাবের সদস্যরা। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে ইফতার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে।
এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, অর্পিতা শ্যামা দেব ও অনিক রায়, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ।
এ ছাড়াও ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।