সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলমের মিথ্যা মোবাইল চুরির অপবাদ সহিতে না পেরে স্থানীয় দশম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া মোহাম্মদ তানজীর আহমদ সিহাব নামের এক কিশোরের আত্মহত্যার চেষ্টায় এলাকায় তুলপাড় চলছে। চোয়ারম্যান মোবাইল হারিয়ে কোন রকম আইনী ব্যবস্থা না নিয়েই সিহাবকে মোবাইল চুরির জন্য প্রথমে সিলেট আদালতপাড়া ও পরে স্থানীয় এলাকায় গিয়ে অপমান করেন। এরপর তিনি কোন প্রমান ছাড়াই সিহাব চুর বলে সোস্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য প্রচার করলে অপমানে সেই ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টার করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখন সে হাসপাতালে লাইফ সার্পোটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ থেকে অপরিচিত একটি সিএনজি যোগে মামলার হাজিরা দিতে সিলেট আসছিলেন চেয়ারমান আলমগীর আলম। সেই সিএনজিতে উঠেন টুকেরবাজার পশ্চিম ইসালমপুরের মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের ছেলে স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া মোহাম্মদ তানজীর আহমদ সিহাবসহ আরো যাত্রীরা। সিএনজিটি মজুমদারী এলাকায় আসলে সিহাব গাড়ি থেকে নেমে যায় এবং চেয়ারম্যান আলমগীর আম্বরখানা দিকে এগিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যান। পরে বিকালে চেয়ারম্যান আলমগীর আলম ফেইসবুক লাইভে এসে সিহাবকে তার মোবাইল চুরির জন্য দায়ি করে বিভিন্ন রকম বক্তব্য প্রচার করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভে এসে চেয়ারম্যান ও সহযোগী ফারুক নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যান আলমগীরের বক্তব্যের প্রচারের কারণে ঐদিন সন্ধ্যার পর সিহাব নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারে লোকজন সিহাবকে ডাকতে গিয়ে ভিতর থেকে কোন রকম সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন হিসাবে ফ্যানের সাথে ঝুলছে। অবস্থা বেগতিক দেখে পরিবারের লোকজন সিহাব নিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সে হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
চেয়ারমানের বক্তব্যে শুনা যায়, তার কোর্টে হাজিরা ছিলো। পিরেরবাজার পয়েন্ট থেকে তিনি ও সিহাব পৃথক মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে আসছিলেন। সিএনজি শহরে প্রবেশ করলে সিহাবসহ অপর যাত্রীরা মজুমদারীতে নেমে যায়। তিনি আম্বরখানা পয়েন্টে এসে দেখতে পান তার পকেটে থাকা মোবাইলটি হারিয়ে গেছে। পরে তিনি মজুমদারী এসে হিসাবকে খোঁজতে থাকেন। কিন্তু তিনি সিহাবকে পাননি। পরে কিছু সময় পর আদালতে সিহাব আসলে চেয়ারম্যান তাকে মোবাইল চুরির জন্য দায়ী করেন। কিন্তু সিহাব কিছুইতেই চুরির ঘটনা স্বীকার করেনি। বিকালে আবার একই জিএনজি করে চেয়ারম্যান ও সিহাবসহ অপর সহযোগীরা বাড়ি ফিরে রাস্তায় সিহাব নেমে যায়। এরপর সন্ধ্যায় রাতেই চেয়ারম্যান মোবাইল চুরির বিষয়টি নিয়ে লাইভ করেন। এতে অপমানে ক্ষোভে স্কুল ছাত্র সিহাব আত্মহত্যার চেষ্টা করে।