শুধু মহানগর এলাকার বন্দিদের জন্য দেশে প্রথম কার্যক্রম শুরু করলো সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগার। নতুনভাবে স্থাপিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি স্থানান্তরের সাত বছর পর পরিত্যক্ত কারাগারে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ২৩৬ বছর আগে স্থাপিত কারাগারকে নতুনভাবে কাজে লাগানো হলো।
কারাগারের জন্য ৪৫২জন জনবল নিয়োগসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে, এটিই এখন দেশের প্রথম মেট্রোপলিটন কারাগার। ছবি: সময় সংবাদ
কারাগারের জন্য ৪৫২জন জনবল নিয়োগসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে, এটিই এখন দেশের প্রথম মেট্রোপলিটন কারাগার।
জানা যায়, ফরাসি বিপ্লবের সময় ১৭৮৯ সালে ২৫ একর জমির ওপর স্থাপিত হয় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার। ২০১৮ সালে এই কারাগার থেকে বন্দিদের স্থানান্তর করা হয় ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী বাদাঘাট এলাকায় স্থাপিত নতুন কারাগারে। তখন পরিত্যক্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কারাগার নামকরণ করা হয়।
ডিআইজি প্রিজন্স মো. ছগির মিয়া জানান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ কে সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে রূপান্তর করে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন বন্দিদের রাখা শুরু হয়। সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকা এবং নগরীর ছয় থানা এলাকার বন্দিদের এই কারাগারে রাখা হচ্ছে। কারাগারের জন্য ৪৫২জন জনবল নিয়োগসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে মেট্রো অঞ্চল কারাগার উল্লেখ করে কারা কর্তৃপক্ষ দেয়ালে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। সিলেট থেকে মেট্রোপলিটন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় একদিকে অপরাধ যেমন কমে আসবে, তেমনি শহরকেন্দ্রিক হাজতি বন্দি শনাক্ত করা সহজ হওয়ার পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে বলে মনে করছেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী।
অন্যদিকে সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আশিক উদ্দিন মনে করেন, সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের মতো দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় যদি কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশাপাশি মেট্রো কারাগার চালু করা যায়, তাহলে কারাগারে বন্দিদের চাপ অনেকাংশে কমবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও কমে আসবে।
সিলেট বিভাগের চার জেলা ও সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের ধারণ ক্ষমতা চার হাজার ৪৮২। বন্দি রয়েছে চার হাজার ৩৪৪জন। দেশে কারাগারের সংখ্যা ৬৯।