, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন সিলেটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে : সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা জৈন্তাপুরে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় আদালতে মামলা দায়ের ‘সিলেটের পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত এটা বৈষম্যের শামিল’ অসমর্থ মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে : জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল হাসান নির্বাচনের আগেই বয়কট একাংশের : প্রশ্নবিদ্ধ সিলেট উইমেন চেম্বার সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসকের লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল, তদন্তে কমিটি
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

২৭ মাসে ১১০ ভূকম্পন : ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ সিলেট

সিলেট ও এর আশপাশে ভূ-অভ্যন্তরে একাধিক ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের ১ নম্বর বিপজ্জনক জোন হওয়ায় সিলেটে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৭ মাসে দেশে ১১০টি ভূমিকম্পের অধিকাংশ সিলেটকে ঘিরে সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মানতে রাজি নন বিল্ডিং কোড। নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

জানা যায়, বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন: সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ রিখটার স্কেল। প্রায় ১,৫৪২ লোক হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বিপুল ছিল। এছাড়া ১৮১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ এবং ১৮২২ সালে সিলেটে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৫৪৮ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আরও সাতটি ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২০২৩ সাল থেকে চলতি মাসের ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১১০ ভূমিকম্পের রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই ভবন নির্মাণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক (ভারপাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার না হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী জান-মাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সিলেট নগরীতে ভবন নির্মাণের সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের পর বিল্ডিং কোড মানছে কি মানছে না তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন না ভবনের মালিকরা। এ কারণে নির্মাণ তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ সালে নগরীতে সরকারি-বেসরকারি ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও ভবনগুলোতে এখনও চলছে কার্যক্রম।

জনপ্রিয়

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

২৭ মাসে ১১০ ভূকম্পন : ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ সিলেট

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

সিলেট ও এর আশপাশে ভূ-অভ্যন্তরে একাধিক ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের ১ নম্বর বিপজ্জনক জোন হওয়ায় সিলেটে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৭ মাসে দেশে ১১০টি ভূমিকম্পের অধিকাংশ সিলেটকে ঘিরে সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মানতে রাজি নন বিল্ডিং কোড। নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

জানা যায়, বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন: সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ রিখটার স্কেল। প্রায় ১,৫৪২ লোক হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বিপুল ছিল। এছাড়া ১৮১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ এবং ১৮২২ সালে সিলেটে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৫৪৮ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আরও সাতটি ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২০২৩ সাল থেকে চলতি মাসের ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১১০ ভূমিকম্পের রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই ভবন নির্মাণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক (ভারপাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার না হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী জান-মাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সিলেট নগরীতে ভবন নির্মাণের সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের পর বিল্ডিং কোড মানছে কি মানছে না তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন না ভবনের মালিকরা। এ কারণে নির্মাণ তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ সালে নগরীতে সরকারি-বেসরকারি ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও ভবনগুলোতে এখনও চলছে কার্যক্রম।