সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেছেন, বিচার পাওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। অনেক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৈষম্যসহ নানা জটিলতা কারণে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। অসমর্থ মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার সিলেটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি সিলেট কতৃক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সকল নাগরিকের আইনের দৃষ্টিতে সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করা হয় উল্লেখ করে জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, আইনগত সহায়তা দেওয়া শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়। ধর্মীয়, মানবিকতা ও নৈতিকতার জায়গা থেকে এটা আমাদের দায়। তিনি এ দায়-দায়িত্ব জেলা প্যানেল আইনজীবীদের যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান করেন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ২০১৩ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
সিলেটের জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির পক্ষ থেকে পল্লবী রায় পুরো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ আইনজীবী নির্বাচিত হওয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি আরো বলেন, প্যানেল আইনজীবীদের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তিনি আগামীতে সিলেট লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম অন্যান্য জেলাকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে পরিণত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় আরো বক্তৃতা করেন এইড ও শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু, বিভাগীয় বিশেষ জজ শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক, চীফ জুডিসিয়ল ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম ইলিয়াছ, চীফ মেট্টোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু ওবায়দা, মহানগর দায়রা জজ রাজীব কুমার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পদ্মাসন সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতি বছরের মতো এবারো ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৫’ জাতীয়, জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোনো চিন্তা নাই।’