ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘঠেছে। জেলার চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বধ্যভূমি একাত্তর, বিটিআরআই, মাধবপুর লেইক, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন স্পটে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রাজু মিয়া বলেন, তিনি রাজধানীর উত্তরা থাকেন সব সময় জ্যাম, আর গাড়ির শব্দে যে অস্বস্তিকর পরিবেশে তাদের বসবাস, শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশে এসে নিমেষেই যেন সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বালিশিরার প্রাকৃতিক পরিবেশও তাকে দারুণ আকৃষ্ট করেছে। ঢাকায় ফিরে স্বস্তি খোঁজার জন্য যতটা পারেন চোখ দিয়ে মনের ভিতরে এই প্রকৃতির ছবি তুলে নিয়ে যাবেন।
দর্শনার্থী রিনা বেগম বলেন, বোন ও ভগ্নিপতির সাথে শ্রীমঙ্গল বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে চা বাগান দেখেছেন, লাউয়াছড়া বন দেখেছেন; দুটাই সবুজ। তার কাছে মনে হচ্ছে যেন তিনি ‘সবুজ সাগরে সাঁতার কাটছেন।
শ্রীমঙ্গলের উঁচু-নিচু পাহাড়, চা বাগান, পান বাগান ঘুরে দেখছেন রাজশাহী থেকে আসা আজাদুর রহমান ঈদের আনন্দের সাথে বারতি কিছু যোগ করতে তিনি স্ত্রী সন্তানসহ বেড়াতে এসেছেন। ঘুরে দেখেছেন শ্রীমঙ্গল বিটিআরআই ও খাসিয়া পুঞ্জিসহ বেশ কিছু এলাকা। মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। চা বাগানে হেঁটেছেন।
শ্রীমঙ্গল সিতেশ বাবুর বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে ঈদের সকাল ও বিকাল প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড়। এদিকে ঈদের দিন বড়লেখা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় হাজার হাজার লোকসমাগম ঘটে পাথারিয়া পাহাড় ও তার পাদদেশে। এবারের ঈদের আনন্দটা ছিল একটু অন্যরকম। ঈদের আনন্দ ভাগাবাগি করতে ছুঠে যান মাধবকুণ্ড জলপ্রাপাতে। উঁচু টাওয়ারে। দিনভর মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ পুরো পাথারিয়া পাহাড়ি এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। আর এই পর্যটকদের কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছেন জেলায় নিয়জিত পর্যটন পুলিশ।