সিলেটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার(উত্তর) মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।
আটকৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটি পাড়া এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন, সুনামগঞ্জের হাছানগর ও কাজীটুলার আরব আলী ছেলে ইমন, কাজীটুলার দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিবসহ ১০ জন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলা, হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলা চালানোর প্রতিবাদে সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটেও প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকা ১০ জনকে আটক করেছি।
তিনি আরো বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা সাপেক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ‘ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ জনতা। এ সময় ইসরায়েলি কোমল পানীয় রাখার অভিযোগে কেএফসির রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে নগরীর দরগাহ, জিন্দাবাজার, বন্দর বাজারসহ ৪টি বাটা শোরুমে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরীর মিরবক্সটুলা এলাকায় রয়েল মার্ক ভবনের দুই তলায় থাকা কেএফসিতে দুই দফা হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে কেএফসিতে এ হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নগরে বের হওয়া মিছিলের একটি অংশ বেলা আড়াইটার দিকে নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসিতে হামলা চালায়।
এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালায়। কেএফসির ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ফ্রিজে এবং স্টকে থাকা পেপসি, সেভেনআপ, মাউন্টেন ডিউসহ শত শত বোতল কোমল পানীয় রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। পরে ভবনে থাকা হোটেল রয়েল মার্কের রিসিপশন এরিয়া ও তৃতীয় তলার সাফরা রেস্টুরেন্টেও হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে তারা চলে যান।