সিলেট টেস্টের প্রথম দিনটা একরকম দুঃস্বপ্ন হয়েই ধরা দিলো বাংলাদেশের জন্য। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলাররাও জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটিতে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ। মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর দিন শেষে কোনো উইকেট না নিয়েই মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। দিন শেষে সফরকারী জিম্বাবুয়ে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে পিছিয়ে আছে মাত্র ১২৪ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয়েছিল তুলনামূলকভাবে সতর্কতায়। লাঞ্চ পর্যন্ত ৮৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ছিল দল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই শুরু হয় ধস। এই সেশনে ২৬ ওভারে মাত্র ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ রানে ফিরে গেলে ভেঙে যায় তার ও মুমিনুল হকের ৬৬ রানের জুটি। এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম মাত্র ৪ রান করে ফেরেন। একমাত্র আশার আলো ছিলেন মুমিনুল হক, যিনি তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। তবে ৫৬ রানে তিনিও বিদায় নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে।
নিম্নক্রমেও আশার আলো জ্বলেনি। মেহেদি হাসান মিরাজ মাত্র ১ রান করে ফিরে যান মুজারাবানির শর্ট বলে। শেষদিকে জাকের আলি ও হাসান মাহমুদ ৪১ রানের জুটি গড়লেও বড় স্কোরের দিকে নিতে পারেননি দলকে। তাতেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস মাত্র ১৯১ রানে।
স্বল্প রান নিয়ে লড়াইয়ে ফেরার প্রত্যাশা ছিল টাইগার বোলারদের দিকে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান দাপটের সঙ্গেই দিন শেষ করেছেন।
বেনেট খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে, ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। আর কারান ছিলেন ধীরস্থির, ১৭ রানে অপরাজিত থেকে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন। দুই ওপেনার মিলে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে উইকেট হার না দিয়ে দিন শেষ করেন, যা বাংলাদেশ দলের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
টেস্ট ইতিহাসে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন দৃশ্য একবারে নতুন। এই ম্যাচে যেন ফিরলো ২০০১ সালের ঢাকার দুঃস্মৃতি, যখন বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল মাত্র ১০৭ রানে।