বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশের রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রথম উদ্যোগ হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো সেবা চালু করছে সরকার।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ইউরোপে পণ্য পরিবহনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
আগামী রোববার বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় ৬০ টন পণ্য নিয়ে সিলেট থেকে স্পেনের উদ্দেশে উড়াল দেবে বিমানের একটি কার্গো ফ্লাইট।
গত ৮ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রথম উদ্যোগ হিসেবে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো সেবা চালু করছে সরকার। খুব শিগগিরই কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকেও একই সুবিধা চালু করা হবে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইটটি সরাসরি ইউরোপে পণ্য পরিবহন করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি কেবল একটি নতুন আকাশপথের সূচনা নয়, বরং একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন। এ উদ্যোগ আঞ্চলিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, প্রবাসী সম্পর্ক এবং জাতীয় মর্যাদাকে একত্র করে একটি সমন্বিত সাফল্যের রূপ দেবে।’
সিলেট অঞ্চলের শাক-সবজি, আনারস, লেবুজাতীয় ফল, সাতকড়া, পান, হিমায়িত মাছ, সুগন্ধি চাল, বেতের আসবাবপত্র, নকশিকাঁথা এবং কুটির শিল্পের বিশাল বাজার রয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। গত ৬ বছর ধরে সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেসব পণ্য পাঠাতেন রপ্তানিকারকেরা।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, কার্গো কমপ্লেক্স ও টার্মিনাল আগে থেকেই প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্প্রতি ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। রোববারের ফ্লাইটের জন্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।