সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় কলেজছাত্র তুষার আহমেদ চৌধুরী হত্যাকা-ে জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার পৃথক অভিযানে ঢাকা গাজীপুর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ থানার জালালপুর গ্রামের মো. সুনাফর আলী সানোয়ারের ছেলে বর্তমানে নগরীর কলবাখানী এলাকায় বসবাসরত পারভেজ (২০) ও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রন্নারচর গ্রামের সোমলাল দাসের ছেলে বর্তমানে তিনি বাগবাড়ি এলাকায় বসবাসরত রাজু দাস (২৩)।
এদিকে শনিবার র্যাবের হাতে আটক হওয়া পারভেজ সেই পারভেজ নয়। তিনি নির্দোষ এবং মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। মূল আসামি পারভেজ ও রাজু দাসকে ঢাকার পূর্বাচল সংলগ্ন গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ বলছে, এর আগে শনিবার র্যাবের হাতে আটক হওয়া পারভেজ একজন দোকান কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে তাকে হত্যাকা-ের মূল আসামি হিসেবে প্রচার করা হয়। যার ফলে তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছেন। তাকে স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়া হবে।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে শাহী ঈদগাহ এলাকার দলদলি চা বাগানে পূর্ব শত্রুতার জেরে খুন হন তুষার আহমেদ চৌধুরী (২১)। সে এমসি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট সাজেদ আহমদ চৌধুরীর ছেলে। আটক পারভেজসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে আহত তুষার ঘটনাস্থলেই মারা যান। সেদিন রাতেই হত্যাকান্ডে জড়িত জাবেদ আহমদকে আম্বরখানা বড়বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পরদিন তুষার খুনের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত মূল ৩ আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইতোমধ্যে অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন। আটককৃতদের আদালতে হাজির করা হবে।
এ ব্যাপারে এসএমপির মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি কুচক্রী মহল মূল আসামিদের আড়াল করতে নির্দোষ যুবকের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আটক নির্দোষ পারভেজকে স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়া হবে।