, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন সিলেটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে : সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা জৈন্তাপুরে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় আদালতে মামলা দায়ের ‘সিলেটের পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত এটা বৈষম্যের শামিল’ অসমর্থ মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে : জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল হাসান নির্বাচনের আগেই বয়কট একাংশের : প্রশ্নবিদ্ধ সিলেট উইমেন চেম্বার সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসকের লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল, তদন্তে কমিটি সিলেটে প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেত্রীর পদ স্থগিত
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে
ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

যুক্তরাজ্য থেকে এসেও মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না জগন্নাথপুরের প্রবাসী নুর আলীর

ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় হারালেন জগন্নাথপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুর আলী (৪২)।

 

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

 

ওই প্রবাসী জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর আশিঘর এলাকার মৃত হাজী তৈয়ব আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় গ্রামের মাদসারা মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

জানা যায়, মা সহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেন প্রবাসী নুর আলী। গেল চার মার্চ ব্যবসার কাজে ঢাকায় যান তিনি। ওই দিন রাজধানীতে সড়ক পারাপারের সময় একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নুর আলী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান তিনি। বুধবার রাতে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে এলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

 

প্রবাসী নুর আলীর চাচাতো ভাই বিলাল হোসেন, তিনি প্রবাসী হলেও দেশে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। মা ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য দেশে এসেছিলেন। একটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাসের ধাক্কায় আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

তিনি জানান, মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও এক বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। গতকাল জানাজা শেষে পাবাবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে তাঁকে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহীম শাহীন বলেন, খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন নুর আলী। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মত্যুতে এলাকায় শোকের ছাড়া বিরাজ করছে।

জনপ্রিয়

জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

যুক্তরাজ্য থেকে এসেও মায়ের সঙ্গে ঈদ করা হলো না জগন্নাথপুরের প্রবাসী নুর আলীর

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়ে এক সড়ক দুর্ঘটনায় হারালেন জগন্নাথপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুর আলী (৪২)।

 

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

 

ওই প্রবাসী জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর আশিঘর এলাকার মৃত হাজী তৈয়ব আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় গ্রামের মাদসারা মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

 

জানা যায়, মা সহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেন প্রবাসী নুর আলী। গেল চার মার্চ ব্যবসার কাজে ঢাকায় যান তিনি। ওই দিন রাজধানীতে সড়ক পারাপারের সময় একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নুর আলী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান তিনি। বুধবার রাতে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে এলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

 

প্রবাসী নুর আলীর চাচাতো ভাই বিলাল হোসেন, তিনি প্রবাসী হলেও দেশে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। মা ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য দেশে এসেছিলেন। একটি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসার কাজে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাসের ধাক্কায় আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

তিনি জানান, মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও এক বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। গতকাল জানাজা শেষে পাবাবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে তাঁকে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহীম শাহীন বলেন, খুবই ভালো একজন মানুষ ছিলেন নুর আলী। আমি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মত্যুতে এলাকায় শোকের ছাড়া বিরাজ করছে।