মুক্তাদির-আরিফ হুঙ্কার দিলেন। নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করলেন। তবুও নেতাকর্মীদের দমানো যাচ্ছে না। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন সিলেট বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কতিপয় নেতাকর্মী। তাদের নিয়ে বিব্রত সিনিয়র নেতারা। পাথর ও বালু লুট, চোরাকারবারি রুট নিয়ন্ত্রণসহ নানা কাজে জড়িত বিতর্কিতরা। ইতিমধ্যে সিলেটেই বিএনপি’র অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবু থামছে না বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। এই অবস্থায় এখন সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড জাহিদ হোসেন নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে সিলেটের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। একইসঙ্গে বলেছেন- যেসব ঘটনায় অভিযোগ আসবে সেগুলো যেন তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আয়োজিত এই ভার্চ্যুয়াল সভায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গাউছের সভাপতিত্ব ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা ডা. এ জেডএম জাহিদ হোসেন। দলীয় কোনো নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভায় আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলা ইউনিটকে তার অধীন প্রতিটি উপজেলা, থানা কমিটির দায়িত্বশীল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নিয়ে মিটিং করে সংগঠনের নির্দেশনা পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
ভার্চ্যুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও মিজানুর রহমান চৌধুরী। জেলার নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফজলুল করীম ময়ুণ, সিলেট মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল হক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, এনামুল হক, সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন উজ্জ্বল, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খাঁন জামাল, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জি এম মুক্তাদির রাজু, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রশিদ আমিন, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, সিলেট মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, মির্জা সম্রাট, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহিতুল ইসলাম মুহিত, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ কয়েস, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খাঁন, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহাদ আলম, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি আনিসুল হক, মৌলভীবাজার কৃষক দলের সভাপতি শামীম আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট মাশুক আলম, সিলেট জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব রিংগন, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন দিনার, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে এহসান রাব্বি, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, আকিবুর রহমান সোহান প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল জানিয়েছে- সভায় অন্যতম এজেন্ডা ছিল বিশৃঙ্খলা দমানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া। এতে যাতে কোনো নির্দোষ নেতা বা কর্মী শাস্তির আওতায় না আসে সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার নির্দেশনা দেয়া হয়।