, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে : সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা জৈন্তাপুরে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় আদালতে মামলা দায়ের ‘সিলেটের পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত এটা বৈষম্যের শামিল’ অসমর্থ মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে : জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল হাসান নির্বাচনের আগেই বয়কট একাংশের : প্রশ্নবিদ্ধ সিলেট উইমেন চেম্বার সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসকের লাথি মারার ভিডিও ভাইরাল, তদন্তে কমিটি সিলেটে প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেত্রীর পদ স্থগিত আমেরিকা ইউরোপের ৫টি দেশসহ উচ্চ শিক্ষার জন্য তিন সহস্রাধিক রেজিষ্ট্রেশন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালকের দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেট থেকে ছাদখোলা গাড়িত হবিগঞ্জে যাবেন হামজা, সার্বক্ষণিক সঙ্গী ৬ পুলিশ

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার হামজা চৌধুরী অবশেষে বাংলাদেশ আসছেন। সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার দুপুরে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে আসবেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। সেখান থেকে যাবেন পিত্রালয় হবিগঞ্জের বাহুবলি গ্রামে। ২৪ ঘণ্টার বেশি নিজ গ্রামের সফরে হামজার জন্য ছাদখোলা গাড়ি ছাড়াও রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আগে থেকে বাফুফে হামজার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছে। বাফুফের চার জন সদস্য- ইকবাল হোসেন, গোলাম গাউস, কামরুল ইসলাম হিল্টন ও সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন আজ সিলেট ও হবিগঞ্জ পরির্দশন করে শেষ মুহূর্তের ব্যবস্থাপনা দেখে এসেছেন।

সিলেট বিমানবন্দর ছাড়া দুই জেলার প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর সঙ্গে বাফুফে কর্তারা সাক্ষাত করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকালে সিলেট পৌঁছে বিকেলে হবিগঞ্জ ঘুরে রাতে সিলেটে ফিরছে বাফুফের প্রতিনিধি দল।

বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাখওয়াত সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘সিলেট বিমানবন্দরের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার পরই আমরা তাকে ফুল দিয়ে রিসিভ করতে পারবো। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনার জন্য গাড়ি থাকবে। সিলেটের ডিআইজি হবিগঞ্জ পর্যন্ত পুলিশি সহায়তা প্রদান করবেন।’

হামজার জন্য ছাদখোলা গাড়িসহ অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফেডারেশনের আরেক সদস্য সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাফুফের নির্বাহী সদস্য গোলাম গাউস বলেছেন, ‘হামজার জন্য সমর্থকরা মুখিয়ে আছে। তারা নিশ্চয়ই একপলক তাকে দেখতে চাইবে। এ জন্য আমরা ছাদখোলা গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। যাতে সমর্থকরা হামজাকে সরাসরি দেখার সুযোগ পায়। ও যেন দাঁড়িয়ে সবাইকে অভিবাদনের জবাব দিতে পারে। এই গাড়িতে করে হামজা হবিগঞ্জে আসবে।’

হামজা আজ সোমবার রাতে নিজ বাড়িতেই থাকবেন। এর পরের দিন রাতে ঢাকায় টিম হোটেলে যোগদান করার কথা। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সিলেট থেকে হবিগঞ্জে অবস্থান করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক সবাই। গোলাম গাউস বলেছেন, ‘হবিগঞ্জের এসপি (পুলিশ সুপার) আমাদের নিশ্চিত করেছেন, ৬ জন পুলিশ সদস্য হামজাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করবেন। এর সঙ্গে আমাদের বাফুফে থেকে তিনজন থাকবে। আমরা হামজার বাড়িতে গিয়ে তার বাবার সঙ্গে সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছি। সেখানকার সবকিছু দেখেছি। তিনিও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’

হামজার সঙ্গে তার স্ত্রী, মা, তিন সন্তানও আসছেন। হামজা এর আগে কয়েকবার বাংলাদেশে আসলেও এবারই প্রথম লাল সবুজ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন। তিনি ৩৬ ঘণ্টার সফরে নিজ গ্রামে সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

হামজা মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জ সফর শেষে ঢাকায় এসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন। ১৯ মার্চ বাংলাদেশ দলের টিম ফটোসেশন রয়েছে। এরপরই সংবাদ সম্মেলন। বুধবার দলীয় অনুশীলন হবে নাকি জিম এটি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বাফুফের সহ সভাপতি ফাহাদ করিম বলেছেন, ‘অনুশীলন সেশনের বিষয়টি নির্ভর করছে কোচের ওপর। সে কীভাবে পরিকল্পনা করছে। আমরা কোচের মতামতের পর বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবো।’

জনপ্রিয়

সিলেটে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপিত

সিলেট থেকে ছাদখোলা গাড়িত হবিগঞ্জে যাবেন হামজা, সার্বক্ষণিক সঙ্গী ৬ পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফুটবলার হামজা চৌধুরী অবশেষে বাংলাদেশ আসছেন। সবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার দুপুরে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে আসবেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। সেখান থেকে যাবেন পিত্রালয় হবিগঞ্জের বাহুবলি গ্রামে। ২৪ ঘণ্টার বেশি নিজ গ্রামের সফরে হামজার জন্য ছাদখোলা গাড়ি ছাড়াও রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আগে থেকে বাফুফে হামজার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে আসছে। বাফুফের চার জন সদস্য- ইকবাল হোসেন, গোলাম গাউস, কামরুল ইসলাম হিল্টন ও সাখওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন আজ সিলেট ও হবিগঞ্জ পরির্দশন করে শেষ মুহূর্তের ব্যবস্থাপনা দেখে এসেছেন।

সিলেট বিমানবন্দর ছাড়া দুই জেলার প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর সঙ্গে বাফুফে কর্তারা সাক্ষাত করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকালে সিলেট পৌঁছে বিকেলে হবিগঞ্জ ঘুরে রাতে সিলেটে ফিরছে বাফুফের প্রতিনিধি দল।

বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাখওয়াত সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘সিলেট বিমানবন্দরের পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার পরই আমরা তাকে ফুল দিয়ে রিসিভ করতে পারবো। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনার জন্য গাড়ি থাকবে। সিলেটের ডিআইজি হবিগঞ্জ পর্যন্ত পুলিশি সহায়তা প্রদান করবেন।’

হামজার জন্য ছাদখোলা গাড়িসহ অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফেডারেশনের আরেক সদস্য সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাফুফের নির্বাহী সদস্য গোলাম গাউস বলেছেন, ‘হামজার জন্য সমর্থকরা মুখিয়ে আছে। তারা নিশ্চয়ই একপলক তাকে দেখতে চাইবে। এ জন্য আমরা ছাদখোলা গাড়ির ব্যবস্থা করেছি। যাতে সমর্থকরা হামজাকে সরাসরি দেখার সুযোগ পায়। ও যেন দাঁড়িয়ে সবাইকে অভিবাদনের জবাব দিতে পারে। এই গাড়িতে করে হামজা হবিগঞ্জে আসবে।’

হামজা আজ সোমবার রাতে নিজ বাড়িতেই থাকবেন। এর পরের দিন রাতে ঢাকায় টিম হোটেলে যোগদান করার কথা। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সিলেট থেকে হবিগঞ্জে অবস্থান করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক সবাই। গোলাম গাউস বলেছেন, ‘হবিগঞ্জের এসপি (পুলিশ সুপার) আমাদের নিশ্চিত করেছেন, ৬ জন পুলিশ সদস্য হামজাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করবেন। এর সঙ্গে আমাদের বাফুফে থেকে তিনজন থাকবে। আমরা হামজার বাড়িতে গিয়ে তার বাবার সঙ্গে সামগ্রিক বিষয় অবহিত করেছি। সেখানকার সবকিছু দেখেছি। তিনিও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’

হামজার সঙ্গে তার স্ত্রী, মা, তিন সন্তানও আসছেন। হামজা এর আগে কয়েকবার বাংলাদেশে আসলেও এবারই প্রথম লাল সবুজ দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন। তিনি ৩৬ ঘণ্টার সফরে নিজ গ্রামে সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

হামজা মঙ্গলবার রাতে হবিগঞ্জ সফর শেষে ঢাকায় এসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন। ১৯ মার্চ বাংলাদেশ দলের টিম ফটোসেশন রয়েছে। এরপরই সংবাদ সম্মেলন। বুধবার দলীয় অনুশীলন হবে নাকি জিম এটি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা এসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বাফুফের সহ সভাপতি ফাহাদ করিম বলেছেন, ‘অনুশীলন সেশনের বিষয়টি নির্ভর করছে কোচের ওপর। সে কীভাবে পরিকল্পনা করছে। আমরা কোচের মতামতের পর বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারবো।’